Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

পাইলস এর চিকিৎসা

 

পাইলস এর ছবি

পাইলস একটি সুপরিচিত রোগ। বর্তমানে রাস্তায় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা যায়। রোগ থেকে চিরন্তন মুক্তি, একটি ফাইলই যথেষ্ট। এই লোভনীয় বিজ্ঞাপনগুলি দ্বারা অনেকে প্রতারিত হয়। তবে সব চিকিৎসকরা  খারাপ হয় না, মানুষ কখনও কখনও উপকৃত হয় । তবে কোনও ভুয়া ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত নয়। পাইলস  কী এবং কেন হয়  তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগে থেকে সচেতন হলে  এই রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


পাইলস কি?


পাইলস মলদ্বারের  একটি রোগ। মলত্যাগকালে মলদ্বারে  চুলকানি, ব্যথাহীন রক্তক্ষরণ, মলদ্বারে ব্যথা ,পায়ুপথের বাইরের দিকে ফুলে যাওয়া বা বেরিয়ে আসা অনুভুতি এসব  হ'ল পাইলস এর লক্ষণ । 


পাইলস কি কারনে হয়


যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের এই রোগটি হতে পারে। এছাড়াও, মল ত্যাগকালে অত্যাধিক চাপ প্রয়োগ, অতিরিক্ত পরিমাণে ভার বহন করা,জন্মগত সমস্যা, ইত্যাদি কারণেও  পাইলস হতে পারে।


 শাকসবজি এবং অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া,  গর্ভাবস্থা,পানি কম খাওয়া এই সমস্ত কারণ পাইলসের জন্য দায়ী।

অনেকে নিয়মিত ব্যায়াম না করার কারণে,অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়। এতে পাইলস রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। 

আরো পড়ুন -দাঁতের যত্ন

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা


যদিও পাইলস কোনও গুরুতর রোগ নয় তবে এটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা। সুতরাং এ বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। পাইলস সারানোর উপায় সপর্কে নিচে আলোচনা করা হল। 


পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি এবং অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ। 


নিয়মিত ঘুমাতে হবে।  কমপক্ষে 7-8 ঘন্টা।


প্রচুর পানি পান করতে হবে। 


পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ , এর উত্তরে -গরুর মাংস ,ছাগলের মাংস , কলে ছাটা  ময়দা- আটা, চা, কফি, চকোলেট,তেলে  ভাজা খাবার কম খাওয়া উচিত।


কোনও অতিরিক্ত কাজ করা যাবে  না।


ফরমালিনমুক্ত ফলমূল, ডাল, মাছ, খেজুর,পেঁপে,আপেল,কমলা  ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে। 


 পাইলস রোগের চিকিৎসা য় রোগীরা ভুল চিকিৎসার খপ্পরে পরে প্রায়শই অনেক কষ্ট পান। অনেক হাতুড়ে ডাক্তার আন্দাজে চিকিৎসা করে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ করে ফেলেন। মলদ্বারে  বিষাক্ত রাসায়নিক ইনজেকশন মারা হয়, এর ফলে মলদ্বারে পচন ধরে  যায় এবং ঘা হয়।  


এভাবে  পাইলস থেকে ক্যান্সার হতে পারে। আস্তে আস্তে মলদ্বার বন্ধ হয়ে যায় । তখন  মলদ্বারের  বিকল্প পথ  করে ব্যাগ লাগাতে হয় । এতে রোগীর কষ্টের সীমা থাকেনা ।


পাইলস এর হোমিও চিকিৎসা:


 অনেক চিকিৎসক  নিজেদের অর্শ-ভগন্দেরের চিকিৎসক বলে ঘোষণা করে । ঐসব ডাক্তাররা রোগীদের ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয় আবার পাইলস এর মলম বা ক্রিম লাগাতে রোগীদের বলে। কিন্তু সেটা স্থায়ী সমাধান নয়। 


পরবর্তীতে রোগ আরো জঠিল আকার ধারণ করে। এরকম অনেক চিকিৎসক আছেন  চট্টগ্রাম ফেনীসহ অনেক জায়গায় যারা অপচিকিৎসা দিয়ে থাকে। 


পাইলস এর জন্য হোমিও চিকিৎসা য় রোগের শুরুতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা যেসব ওষুধ রোগীদের দেন তা হল-   এলুমিনা, এলো, আর্সেনিক এল, এন্টিম ক্রোড, এমন কার্ব, নার্কস ভোম, সালফার, ইস্কিউর্লাস হিপ, কলিন সোনিয়া, এসিডি নাইট্রেকাম ইত্যাদি।


এগুলি হচ্ছে পাইলস এর ঔষধের নাম। তবে এসব ওষুধ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা যাবে না। 


পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়


টয়লেটে বসার ধরণ বদল করতে হবে। আপনি যখন কমোডে বসবেন তখন পায়ের নিচে রাখবেন ছোট একটি টুল। আর সামনের দিকে একটু ঝুকে বসতে হবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে পাইলস এর সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। 


পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়


টয়লেটে বসার ধরণ বদল করতে হবে। আপনি যখন কমোডে বসবেন তখন পায়ের নিচে রাখবেন ছোট একটি টুল। আর সামনের দিকে একটু ঝুকে বসতে হবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে পাইলস এর সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। 


নিয়মিত মুলার জুস্ খেলে পাইলস সমস্যা থাকেনা। তবে শুরুতে অত্যন্ত কষ্ট হবে খেতে আসতে আসতে অভ্ভাস হয়ে যাবে। প্রথমে এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ খাবেন ,পযায়ক্রমে কাপের অর্ধেক পরিমানে নিয়ে আসতে হবে। 


কলা একটি উপকারী ফল। এটা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ,মলত্যাগ করতে কোন কষ্ট হয়না। ফলে আস্তে আস্তে পাইলস সমস্যা কমে আসে। 


কাঁচা পেঁয়াজ পাইলস এর ঔষধ হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ পাইলসের রক্ত পড়া বন্ধের উপায় হিসেবেও খাওয়া যায়। 


ডুমুর এক জাতীয় ফল যা খেলে অর্শ রোগের প্রতিকার হয়। সারারাত একগ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে অর্ধেক বিকালে অর্ধেক খেতে হবে। এটা অশ্ব রোগ বা গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা য় ব্যবহৃত হয়। 


কাঁচা হলুদ পানিতে ভালভাবে সিদ্ধ করে সেই পানি নিয়মিত খেতে হবে। অশ্ব রোগের চিকিৎসা তে হলুদের ভূমিকা অপরিসীম। 


আজকাল, আধুনিক চিকিৎসার কল্যাণে  কোন কাটা ছেড়া ব্যতীত  রিংলাইগেশন ও লংগো অপারেশনের মাধ্যমে ৯৫%রোগীর এ রোগ নিরাময় সম্ভব। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া দরকার। 


পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়,অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা,অর্শ রোগের হোমিও ঔষধ,পাইলস এর হোমিও ঔষধ এর নাম,পাইলসের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি,পাইলস এর ওষুধ,অর্শ রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা,পাইলস কি ভালো হয়,অর্শ রোগের চিকিৎসা,অর্শ রোগ কি,পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা,অর্শ রোগের ভেষজ চিকিৎসা,অর্শ রোগ থেকে মুক্তির উপায়,অশ্ব রোগের ঔষধ,অশ্ব রোগের চিকিৎসা কি
পাইলস থেকে মুক্তির উপায়,পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়,অর্শ রোগের লক্ষণ,পাইলস এর ভেষজ চিকিৎসা,অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা,কিভাবে বুঝবো পাইলস হয়েছে,পাইলস এর সমাধান,পাইলস হলে করণীয়,পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয়,পাইলস এর চিকিৎসা কি,অশ রোগের চিকিৎসা,পাইলস কি কেন হয়,পাইলস এর লক্ষণ ও চিকিৎসা,ঘরোয়া উপায়ে পাইলস এর চিকিৎসা,পাইলস হলে কি কি খাওয়া যাবে,পাইলস এর প্রাথমিক লক্ষণ,পাইলসের সমস্যা,পাইলস রোগ কি,পাইলস রোগের ঔষধ,অর্শ বা পাইলস রোগের চিকিৎসা,অশ্ব রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা,
গেজ রোগের ঔষধ,পাইলসের ব্যথা কমানোর উপায়


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ