Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

অনলাইনে ব্যবসা শুরু করব কিভাবে

অনলাইন ব্যবসা কিভাবে শুরু করব

আমরা প্রত্যেকে অনেক উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কেউ চাকরি করেন, কেউ ব্যবসা, আবার কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকেন।

ব্যবসা করাটা অনেকে বেশি প্রাধান্য দেন। আসলে বলতে গেলে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হলো ব্যবসা। ছোট বা বড় যেকোন ব্যবসা করতে গেলে কিছু টেকনিক জানতে হয়।অনলাইন ব্যবসার নাম সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষ অজ্ঞ। কাপড়ের ব্যবসা চাইলে করতে পারেন,অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সংক্রান্ত অনেক ভিডিও আছে। সার্চ করে দেখে নিতে পারেন। 


অনলাইনে ব্যবসা শুরু করব কিভাবে


যেকোন ধরনের দোকান যদি আপনি অনলাইনেও প্রচার করেন তবে বিক্রি অনেক বেশি হবে। আর আপনার ব্যবসা পরিচিতি লাভ করবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

কিভাবে অনলাইনে আপনার ব্যবসা বাড়াবেন 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঃ

অনলাইনে অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে। যেমন - ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, পিন্টারেস্ট, রেড্ডিট ইত্যাদি। এসব মাধ্যমে যদি কোন পন্য বা বিষয় প্রচার করা যায় তবে তা অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছাবে। ফলে পন্যটির প্রমোশন হবে ও বিক্রি বাড়বে।

আর যদি পন্যের গুনাগুন বা ব্যবসার পরিচিতি নিয়ে লাইভে আসা যায় তবে তা আরও ভালো ফলাফল বয়ে আনবে। এভাবে লাইভ দেখালে খুব দ্রুত ব্যবসা বা পন্য প্রচার  লাভ করবে।লাইভে আসার আরেকটি উপকারী দিক হলো, এটা অনেকটা মুখোমুখি বেচাকেনা করার মতো। ক্রেতাদের কোন প্রশ্ন থাকলে তারা সরাসরি তা জানতে পারেন।

এর মাধ্যমে যেহেতু ক্রেতারা পন্য সম্পর্কে জানতে পারেন, ফলে এটা আপনার ব্যবসার জন্য অনেক ভালো হবে।

ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা 

বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন ব্যবসা করার জন্য ফেইসবুক এর উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। 

ফেসবুক হলো সবচাইতে বড় মার্কেট প্লেস যার মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই সহজ। ফেসবুকে ব্যবসার জন্য শুধু একটি পেজ খুলতে হবে কিংবা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেও পণ্য বিক্রি করা যায়। তবে আলাদা একটি বিজনেস পেজ খুলে পণ্য বিক্রি করা অধিক সুবিধাজনক। 

ফেসবুকে পেজ এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এখানে মার্কেটিং খুব সহজ। যেমন কেউ মার্কেটিং করে পেজের লাইক এর জন্য। এতে করে লোকজন আরও বেশি জানতে পারে পেজটি সম্পর্কে।ফেসবুক পেজ খুলতে কোন রেজিস্ট্রেশন বা কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। যে কেউ চাইলে ফেসবুকে পেজ খুলে এর মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারে।

অনেকে আবার পেজের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়না, তারা দেয় সুনির্দিষ্ট কোন পোস্ট বা পণ্যের জন্য বিজ্ঞাপন। এর উদ্দেশ্য থাকে সুনির্দিষ্টভাবে ওই পণ্যের প্রচারণা এবং বিক্রয় বাড়ানো।এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো যে ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে বুষ্টিং করা হোক না কেন তা যেন আকর্ষণীয় হয়। পাশাপাশি পন্য বা পেজ সম্পর্কিত যে কথাগুলো লেখা অথবা বলা হয় তা যেন আকর্ষণীয় এবং যুক্তিপূর্ণ হয়।

তবে বুষ্টিং ছাড়াও ফেসবুকে মার্কেটিং এর আরো পদ্ধতি রয়েছে । যেমন ধরা যাক ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।এই টাইপের মার্কেটিং এ ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সার দের অনেক ফ্যান ফলোয়ার আছে তাদের সাহায্য নেয়া হয়। এই মার্কেটিং পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন।


অনলাইনে ব্যবসা শুরু করব কিভাবে


ইউটিউবের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা  ঃ

বর্তমানে কোন পন্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য ইউটিউব হল সবচেয়ে  উপযুক্ত মাধ্যম। ইউটিউবের মাধ্যমে এত দ্রুত প্রচার করা যায় ভাবতেও অবাক লাগে। 

আপনি যদি আপনার দোকানের বা পন্যের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করেন তবে তা সাফল্য আনতে দেরি করবেনা।

নিজে ভিডিও বানাতে না পারলে কোন এক্সপার্ট ইউটিউবারের কাছ থেকে বানিয়ে নিতে পারেন। কোন জনপ্রিয় চ্যানেলে যদি ভিডিও প্রচার হয় তবে কি হয় একটু জানাবেন। 

ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে ব্যবসা 

ছবি শেয়ারিং এর জন্য মূলত বিখ্যাত ইনস্টাগ্রাম । বাংলাদেশে ইনস্টাগ্রাম এর প্রচুর ইউজার রয়েছে।

বাংলাদেশে অনেক রেষ্টুরেন্ট এবং পোশাক এর ব্র্যান্ডগুলো টার্গেট করে ইন্সটাগ্রামকে। ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন ধরনের ছবি আপলোড করে, বিভিন্ন উপায়ে তারা তাদের ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করে।ফেসবুকের মত আরেকটি জনপ্রিয় হলো ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।

 ইন্সটাগ্রাম এর প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য সুন্দর সুন্দর ছবি আপলোড দিতে হবে। অতএব কেউ যদি ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করতে চায় তবে তাকে অবশ্যই এডিটিং ভালো ভাবে শিখতে হবে।তবে ছবির পাশাপাশি শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে ও পণ্যের প্রচারণা করা যায়।

কুপন সিস্টেম করেঃ

আমরা সবাই ডিসকাউন্ট এর পাগল। সব জায়গায় শুধু ডিসকাউন্ট খুঁজে বেড়াই। আপনি মুল্যহ্রাস করে অনলাইনে প্রচার করেন। নির্দিষ্ট ছাড়ে পণ্য বিক্রয়ে কুপন বিক্রি করতে পারেন।

যেমন- একহাজার টাকা মূল্যের কুপন ১০ বা ১৫ শতাংশ কমে বিক্রি অথবা একটি পণ্য কিনলে অন্য একটি পণ্যতে নির্দিষ্ট ছাড়ে কুপন দেয়া ইত্যাদি। 

এভাবে কৌশল খাটালে ছাড়ের আশায় মানুষ প্রয়োজন না হলেও কুপন কিনে রাখবে। 

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা বর্তমানে সবচাইতে উৎকৃষ্ট উপায়। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আপনি যদি আপনার পণ্যের প্রচারণা করেন তবে তাদের কিছু  রুলস এন্ড রেগুলেশন অনুসারে চলতে হবে।

যেমন ফেসবুকের কথাই ধরা যাক। যদি বুষ্টিং করা না হয় তবে ফেসবুক অনেক সময়  পেজ এর রিচ কমিয়ে দেয়।কিন্তু আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকলে এর মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা করা সবচাইতে ভালো। এতে করে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী সাইট টি ডেভলপ করতে পারবেন।

একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে হলো একটি পার্মানেন্ট এড্রেস থাকা।একটি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল যে কেউ সহজেই তৈরী করতে পারে। কিন্তু ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। একটি ওয়েবসাইট বানানো সহজ বিষয় নয়। এজন্য ওয়েব ডেভেলপার দিয়ে ডিজাইন করতে হয়। আবার আপনিও চাইলে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন কিছু স্কিল অর্জন করে। 

ওয়েবসাইট সিকিউরিটি সিস্টেম খুব শক্তিশালী। সহজে হ্যাক করে ফেলা যায়না ফেইসবুক বা ইনস্টাগ্রম এর মতো।আবার আপনি যদি গুগলের প্রথম পেজে রেঙ্ক করতে চান তবে এর জন্য ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এর সাহায্যে গুগলের প্রথম পেজে র্র‍্যাংকিং পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। 

কোনো ঘড়ির ওয়েবসাইট গুগলে রেঙ্ক করলে তার জন্য ঘড়ি বিক্রি খুব সহজ। ঠিক অন্য কোনো পণ্যের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। আর এভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই লাভজনক একটি ব্যাপার। 


ডিজিটাল প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি

ডিজিটাল প্রোডাক্ট হচ্ছে এমন প্রোডাক্ট যার কোন বাহ্যিক অস্তিত্ব নেই তবে তা মানুষের জীবনে খুব প্রয়োজনীয়। যেমন সফটওয়্যার, ই-বুক ইত্যাদি ।এই ধরণের প্রোডাক্ট বিক্রি করার বড় সুবিধা হচ্ছে যে কোন দেশে সহজেই বিক্রি করা যায়। আর এটার জন্য কোন ধরনের লাইসেন্স বা অন্য কোন কিছুর প্রয়োজন নেই ।

সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি দেয়াঃ

আপনি যদি অনলাইনে পণ্য ব্যবসায় সফল হতে চান তবে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর ডেলিভারি দিতে হবে। পণ্য যদি দ্রুত সময়ে মানুষের হাতে হাতে পৌছানো যায় তবে আপনার প্রতি মানুষের একটা আস্থা জমবে।

এটা ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  কেননা সুনাম যদি অর্জন করা যায় তবে আপনাকে আর পায় কে?

আপনি চাইলে কিছু টাকা খরচ করে ফেসবুকে বুস্ট করতে পারেন। প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ফলদায়ক। এর মাধ্যমে খুব দ্রুত পণ্যের প্রচার ও প্রমোশন করা যায়।

অনেকে ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করেন। নিয়ম জানলে এতেও অনেক সফলতা রয়েছে। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ