Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

মেয়েদের ওজন কমানোর উপায়

৭ দিনে ওজন কমানোর উপায়

অতিরিক্ত মোটা যারা তারা ভালো অবস্থায় নেই। অনেক সমস্যার মুখোমুখি হন তারা,ডায়াবেটিস,প্রেসার,হার্টের নানা রোগে ভুগেন। আবার অনেক ছিমছাম মানুষ আছেন যারা এই অবস্থায় মোটেও খুশি নন। মাঝে মাঝে আফসোস করেন তারা মোটা হওয়ার জন্য। অনেক শুকনা মানুষ দেখেছি যাদের কোন রোগ বা শারীরিক সমস্যা নেই ,অনায়াসে দু জনের খাবার একজনই সাবাড় করতে পারেন। অনেক সময় জিন গত সমস্যার কারণেও মোটা হননা অনেক মানুষ।

তাই মোটা হতে অনেক ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করে তারা। আমরা রাস্তা-ঘাটে  বিভিন্ন পোস্টারে , বিজ্ঞাপনে দেখি যে,চিকন স্বাস্থ্য আর নয়,মোটা হউন  এক ফাইলই  যথেষ্ট।এই পোস্টারগুলি দেখলে অনেকে অভিভূত হন, এদের খপ্পরে পড়ে যান। 

আবার অনেকে ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় নিয়ে ভুল অথবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলেন। আজকের নিবন্ধটি তাদের জন্য।


ওজন কমানোর উপায়

 

ওজন বেড়ে গেলে সমস্যা 

ওজন বেড়ে গেলে কি সমস্যা হয়  সে বিষয়ে অনেকে জানেনা। 

আরো পড়ুন -দ্রুত বীর্যপাতের ঘরোয়া চিকিৎসা 

নিচে কিছু আলোচনা করা হল :

শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হলে এই চর্বি রক্তনালীতে জমা হয়।  এর ফলে রক্তনালী সংকীর্ণ হয়। ধীরে ধীরে রক্ত ​​সঞ্চালন হ্রাস পায়। এটি হার্ট অ্যাটাক এবং ব্রেন স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

অতিরিক্ত ওজন উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী।

ওজন বেশি বেড়ে গেলে শ্বাসকষ্ট  হতে পারে।

মোটা মানুষের মধ্যে বাতজনিত সমস্যা বেশি দেখা যায়।

অতিরিক্ত ওজন হয়ে গেলে ডায়াবেটিস হতে পারে।

যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

ওজন বাড়ার কারণে অতিরিক্ত ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল শরীরে জমা হয়। এটি পিত্তথলির ক্যান্সারের  ঝুঁকি বাড়ায়।

শরীরে অতিরিক্ত মেদ হলে মাথার মধ্যে ফ্যাট জমে থাকে। ফলস্বরূপ, অক্সিজেনের চলাচলে বাধা হয়। যা মাথা ব্যথার কারণ হয়।

মোটা মহিলারা হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগেন। ফলস্বরূপ, প্রসবের বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়।

ওজন বৃদ্ধি মহিলাদের মধ্যে জরায়ুর আকার বাড়িয়ে তোলে। এটি জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

মেদ বেশি হলে শরীরে ঘাম বেশি হয় যা ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়াতে সাহায্য করে। 

তাই ওজন কমানোর উপায় নিয়ে মেয়েদের ধারণা থাকা অতি আবশ্যক। 


ওজন বাড়ার কারণ

ওজন কমানোর উপায় নিয়ে গবেষণা করার আগে জানা প্রয়োজন ওজন বাড়ার কি কারণ। 

ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত চিনি খাওয়া। এর ফলে ইনসুলিন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার, পেটে ফ্যাট জমা ইত্যাদি হতে পারে।

 বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া একদম উচিত না। এতে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। 

বেশি ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ে।

আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম না করেন তবে শরীরের ফ্যাট জমে। ফলে ওজন বেড়ে যায়। 

বিভিন্ন কোমল পানীয়,এনার্জি ড্রিঙ্কস এগুলোতে ফ্যাট বেশি থাকে। তাই এসব এড়িয়ে চলাই উত্তম। 

নিয়মিত 6-7 ঘন্টা ঘুম শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।  ঘুম  কম হলে হরমোনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে যা ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। 


ওজন কমানোর প্রাকৃতিক  উপায় 

ওজন বাড়ানোর চিন্তা না করে  শরীরকে কীভাবে সুস্থ রাখতে হয় সে সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে। পেয়ারা, ব্ল্যাকবেরি, লিচু, কলা, কাঁঠাল ইত্যাদি ভালো ভালো  ফল (ফরমালিনযুক্ত  ফল নয়) খাওয়া উচিত।দৈনিক খাবারের তালিকায় গরুর দুধ, ডিম, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি রাখতে হবে। কারণ এসব খাবার শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে।  

ওজন কমানোর প্রাকৃতিক পন্থা বা উপায় অনেক। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমাতে গ্রিন টি, শসা, টমেটো, লেবু জল ইত্যাদি খেতে হবে।  গ্রীন টির মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গ্রিন টির সাথে আদা মিশিয়ে পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

গোলাপের পাপড়ির পানি ফুটিয়ে পান করলে তা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এর ফলে কিডনি ভালভাবে শরীরে জমে থাকা সোডিয়াম বা লবন পরিশোধন করতে পারে। এতে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় ও পানি পানের চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ওই পানি পান করলে অশেষ  উপকার পাওয়া যায়। 

দারুচিনি শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আট আউন্স পরিমান বিশুদ্ধ পানি গরম করে তাতে দারুচিনি মিশিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে। দিনে দু তিনবার এই পানি করতে হবে। এককাপ চা তে কয়েক টুকরা দারুচিনি মিশিয়ে তারপর পান করুন। ভাল উপকার পাবেন।

মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় হিসেবে প্রতিদিন কুসুম গরম পানির সাথে লেবু খাওয়া যেতে পারে। ১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমাতে সাহায্য করে লেবু। মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়াম রয়েছে অনেক। এসব ব্যায়াম করে ৭ দিনে মেদ কমানোর ইতিহাস সৃষ্টি করা যেতে পারে।

টকদই হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া এটি চর্বি কাটাতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত ওজন  কমে যায়। তবে এক্ষেত্রে ফ্যাট বিহীন দই খেতে হবে। 

রক্তের চর্বি কমাতে গোলমরিচ বেশ উপকারী। লেবুর রসের সাথে গোলমরিচের গুঁড়ার মিশ্রণ ওজন কমানোর একটি কার্যকরী উপাদান। অল্প পানির সাথে অর্ধেক লেবুর রস ,কিছু গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন একবার পান করতে হবে। 

নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে । চর্বিযুক্ত খাবার যেমন দুধ, ঘি, আইসক্রিম, ফাস্টফুড, ভাজা খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন, তাজা বাতাসে কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করুন। 

Nutrigo Lab Burner

নিউট্রিগো ল্যাব বার্নার হল এমন একটি খাদ্য পরিপূরক যা মাত্র ৩০ দিনে মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় হিসেবে ভালো ফল দেবে। পণ্যটিতে 6 টি উপাদান রয়েছে, যা প্রাকৃতিক চর্বিযুক্ত টিস্যু হ্রাসকারী হিসাবে বিবেচিত হয়। 

 এটি দ্রুত ওজন কমায় ও পেশী সুন্দর,শক্তিশালী করে।  শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং এর সঞ্চয় রোধ করে। ক্যাপসুলের নিয়মিত ব্যবহার ক্ষুধা কমাতে এবং রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

এটি লক্ষণীয় যে সম্পূরকটির সূত্রটি কেবল প্রাকৃতিক উদ্ভিদের নির্যাস এবং খনিজগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে । ফলস্বরূপ,এটি  শরীরের জন্য নিরাপদ।

 পণ্যটি সম্পর্কে আরো জানুন  


সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন , জীবন উপভোগ করুন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ