বরশি দিয়ে মাছ ধরা
বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। অসংখ্য নদী-নালা,খাল-বিল ছড়িয়ে আছে এখানে। এদেশের মানুষরা মাছ ধরতে পছন্দ করে। আর মাছ ধরার আছে অনেক পদ্ধতি। বরশি দিয়ে মাছ ধরা মাছ ধরার একটি পদ্ধতি। অনেক মানুষ আছেন যারা বরশি দিয়ে মাছ ধরতে পছন্দ করেন। সৌখিন কিছু শিকারী আছেন যারা মাছ ধরার পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করেন।
যাই হোক বরশি নিয়ে আজ কিছু কথা লিখব। কিভাবে বেশি মাছ পাবেন সে বিষয়ে জানাতে চেষ্টা করব।
বরশি দিয়ে মাছ ধরার নিয়ম
প্রথমে আপনাকে মাছ ধরার ছিপের দোকান এ গিয়ে মাছ ধরার সরঞ্জাম কিনতে হবে।
মাছ ধরার সময়কে দুই ভাবে ভাগ করা যায়। একটি হল গরমকাল অন্যটি হচ্ছে শীতকাল। শীতকালে মাছ খাবার কম খায় বলে মাছ ধরা অনেক হার্ড হয়ে যায়। তাই শীতে মাছ ধরার চেষ্টা না করাই ভালো। বৈশাখ মাস হতে শুরু করে আশ্বিন পর্যন্ত সময়টা মাছ ধরার উপযুক্ত সময়।
ছিপ দিয়ে মাছ ধরা র আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে নিতে হবে। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না।আমি যে চার ও টোপের আইডিয়া দেব সেটা পুকুর বা বিলের জন্য। নদী বা খালের জন্য নয়। পানিতে স্রোত থাকলে এ চার কাজ করবেনা।
মাছ ধরার চার তৈরী
- ২৫০ গ্রাম ভুষি(গরু বা ছাগলের খাবার)
- ১৫০গ্রাম খৈল
- একাঙ্খীর গুড়া(এক ধরনের হলুদ জাতীয় গাছ যা বাজারে পাওয়া যায়)
- পচা খৈলের মিশ্রণ (ভাত ও খৈল একসাথে মিশিয়ে কমপক্ষে ২দিন রেখে দিতে হবে)
- চিনি বা মিষ্টির ঝোল
- চাল ভাজার গুড়ো।
সব ধরনের উপাদান এক সাথে মিশিয়ে দলা পাকিয়ে নিতে হবে। কোন উপাদান কি পরিমাণে নিবেন তা নির্ভর করে আপনি কতক্ষণ মাছ ধরবেন তার উপর। আপনি যদি সারাদিন মাছ শিকার করেন তবে পরিমান আরও বেশি নিতে হবে। আমি যে পরিমাণ বলেছি তা হল তিন থেকে চার ঘন্টার জন্য। অবশ্য এ চারে মাছ দীর্ঘ সময় থাকে বলে অনেক সুবিধা হয়।
মাছ ধরার টোপ
- গোলাকার পাউরুটি ১টি(পাউরুটির উপরের লাল আবরণ টুকু তুলে নিতে হবে)
- পিপড়ার ডিম (পরিমাণ মত)
- বিস্কিটের গুড়ো (তিনটি বিস্কিট নিতে হবে)
- চাল ভাজার গুড়ো
উপাদানগুলো এক সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। পাউরুটিতে সামান্য পানি মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পিঁপড়ার ডিমের সাথে মিশানোর পালা।এ ধরনের চার ও টোপে রুই, মৃগেল, কালবাউশ ইত্যাদি মাছ পাওয়া যাবে। কিছু উপাদানের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। আপনারা অনুমান করে দিয়ে দিবেন। একটু বেশি বা কম হলেও সমস্যা হবে না।
বৃষ্টিতে মাছ ধরার টিপস
মাছ ধরার কৌশল
বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় ধৈর্য্যই চাবিকাঠি। মাছ আপনার টোপ সনাক্ত করতে বেশি সময় নিতে পারে, তাই তাদের আঘাত করার জন্য যথেষ্ট সময় দিন। আপনার মাছ ধরার লাইনে সূক্ষ্ম নড়াচড়া বা কম্পনের প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে হবে । জলের স্বচ্ছতা এবং তাপমাত্রার পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করুন, কারণ এই কারণগুলি মাছের আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভারী বৃষ্টিপাতের সময় মাছ অগভীর এলাকায় যেতে পারে তাই আপনার টোপের গভীরতা সামঞ্জস্য করুন।বৃষ্টির সময় মাছ টোপ খেতে বেশি পছন্দ করে, বিশেষ করে মিঠা পানির ক্ষেত্রে।
শীতে মাছ ধরা
এ সময় পুকুরের গভীরতা অনুযায়ী ফাতনা বেধে বরশি বাইতে হবে। ঘোলা পানিতে মাছ বরশি কম খায়। পরিষ্কার পানি হলে ভালো হয়।মেঘলা দিনের চেয়ে রৌদ্রময় দিনে মাছ বেশি পাওয়া যায়।
কই মাছ ধরার টোপ তৈরির জন্য আপনাকে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে। পরবর্তী পোস্টে আমি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আমার লেখার মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে,হতে পারে অনেক ভুল। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনার মতামত কমেন্ট এ জানান।
2 মন্তব্যসমূহ
কৈ মাছেরটা লিংক দেন
উত্তরমুছুনদিব ইনশাআল্লাহ
মুছুন