Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

বোম্বাই মরিচের উপকারিতা

 কাঁচা মরিচের উপকারিতা

কাঁচা মরিচের উপকারিতা

কাঁচা মরিচ কে না ভালোবাসে। আর মরিচের জাতগুলোর মধ্যে বোম্বাই মরিচ অনেক জনপ্রিয়। প্রচন্ড ঝাল এই মরিচের প্রধান বৈশিষ্ট। ঝালের চোটে নাক -মুখ দিয়ে পানি চলে আসে। 


তারপরও মানুষ পছন্দ করে এটিকে। খুব কম লোক পাওয়া যাবে যারা বোম্বাই মরিচ পছন্দ করেননা। বিশেষ করে যারা ঝালের ভক্ত বা ঝাল খেতে ভালোবাসে তারা বোম্বাই মরিচের প্রতি দারুন আকৃষ্ট। 


কেউ মাছের সাথে খেতে পছন্দ করেন আবার কেউ শাকের সাথে। যাই হোক ,এ মরিচটির অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে রয়েছে এন্টি -অক্সিডেন্ট,যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

বোম্বাই মরিচ খাবারের প্রতি রুচি বাড়ায় ও  মুখের তেতো ভাব দূর করে। 


এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি। এর ফলের শরীরে ভিটামিন সি-র অভাবে যে রোগ হতে পারে তা আর হয়না। তাছাড়া এতে আছে ভিটামিন ই ,যা ত্বকের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।   এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার,যার ফলে কোষ্ট -কাঠিন্যতা রোগ ভাল হয় ।যারা দীর্ঘদিন যাবৎ এ রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খেতে পারেন। 


মরিচের কথা বলতে গেলে গোল মরিচের উপকারিতা অস্বীকার করার উপায় নেই। মাংস কিংবা মাছ রান্না করতে গেলে গোল মরিচ না দিলে তেমন স্বাদের পরিপূর্ণতা আসে না। 

ডায়াবেটিস রোগের জন্য এই মরিচটি বেশ ভালো কাজ করে। এটি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই মরিচ। এতে আছে বিটা -কেরোটিন যা চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। 


যারা আয়রনের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন বোম্বাই মরিচ খেতে পারেন। কারণ এতে আছে বিশেষ উপাদান যা আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। বোম্বাই মরিচে কোন ক্যালোরি নেই। যারা ডায়েট কন্ট্রোল করছেন তারা খাদ্য তালিকায় এটি রাখতে পারেন। 


নাগা মরিচ চাষ পদ্ধতি


টবে মরিচ চাষ পদ্ধতি অথবা বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হল :

বোম্বাই মরিচ শীত বা গ্রীষ্ম উভয় ঋতুতে চাষাবাদ করা যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত মরিচের জন্য ক্ষতিকর। আবার খুব কম বৃষ্টিতেও মরিচের ফলন কম হয়। উর্বর দো -আঁশ মাটিতে মরিচ গাছের ফলন বেশি হয়। মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে জৈব সার দিতে হবে। 

যে স্থানে ছায়া পড়ে ও পানি জমে সে স্থানে মরিচ চাষাবাদ করা অনুচিত। বন্যার পরে ভিটা উঁচু হলে সে জায়গায় মরিচ ভালো হয়। ভাদ্র মাস মরিচ গাছ লাগানোর  উপযুক্ত সময়।পারিবারিকভাবে চাষ করলে বোম্বাই মরিচ গাছ এর যত্ন একটু কম করলেও চলে।


 কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের ক্ষেত্রে জৈব রাসায়নিক সার দিয়ে ২ থেকে আড়াই ফুট দূরে লাইন ও গর্তে চারা লাগাতে হয়। বোম্বাই মরিচ বেশি দিন বাঁচে তাই প্রতি বছর সার দিতে হবে। পানি যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। 


টবে চারা লাগানোর আগে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে।প্রতিটি ১০ ইঞ্চি টবের ক্ষেত্রে ২ভাগ মাটি ও ১ ভাগ গোবর,২ চিমটি টি এস পি ,১ চিমটি ইউরিয়া,১ চিমটি পটাশ ও অল্প পরিমান সরিষার খৈল মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। এভাবে ৭ দিন মাটি শুকাতে হবে। 

এরপর চারা লাগাতে হবে। চারা যদি সুস্থ না থাকে তবে ২-৩ বার দিনে ইউরিয়া সার মিশ্রিত পানি দিন। চারা লাগানোর ২০-২৫ দিনের মধ্যে ফুল আসবে। মাঝে -মাঝে মাটি খুঁচিয়ে আলগা করে দিতে হবে। 

 কড়া রোদে গাছ লাগাতে হবে কারণ মরিচ ছায়ায় থাকলে ফলন তেমন ভাল হয়না । নিয়মিত পরিচর্যা করলে দু তিনটি  গাছ থাকলে মরিচে কিনতে হবে না।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ