Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

সুস্থ থাকার উপায়

 কিভাবে সুস্থ থাকা যায়

সুস্থ থাকার উপায়

স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সবকিছু ভালো লাগে। আর যদি শরীরে কোনো অসুখ হয়,কোনো কিছুই ভালো লাগেনা। সব কিছু অসহ্য লাগে। তাই অসুস্থতা থেকে বাঁচতে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।শরীর সুস্থ রাখার উপায় কি তা জানা আবশ্যক। তাই আমাদের যত কাজই থাকুক না কেন শরীরের যত্ন নেয়ার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বের করতে হবে।  


 আমরা সাধারণত যে  ভুলগুলি করি তার মধ্যে একটি হ'ল, সামান্য জ্বর-সর্দি হলে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করি। এটি কত বড় ভুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অল্প সর্দি- জ্বর হলে  অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের মাধ্যমে  নিরাময় করা সম্ভব। 


  তবে পরে এটি শরীরের উপর  মারাত্মক প্রভাব ফেলে। উচ্চ মাত্রার এন্টিবায়োটিকের অনেক পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে যা অন্য রোগ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। তাই সর্দি-জ্বর হলে সাধারণ প্যারাসিটামল খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।  


 তবে কয়েক দিন ওষুধ সেবনের পরে যদি অসুখ না সারে তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে, কোনও হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যাবেন না, এতে ফলাফল বিপরীত হতে পারে।


শরীর ভালো রাখতে হলে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালের নির্মল বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই বিশুদ্ধ বায়ুতে কমপক্ষে এক ঘন্টা হাঁটুন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী এই ব্যায়াম। 


 প্রতিদিন সকালে খালি পেটে প্রচুর পানি পান করার অভ্ভাস করতে হবে।  গ্যাস্ট্রিক,আলসারের রোগীরা এই নিয়ম ফলো করতে পারেন, অনেক উপকার পাবেন। 


সুস্থ থাকার খাবার তালিকা য় যাদের কোষ্ট -কাঠিন্য আছে তারা ইসবগুলের ভুষি খেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে অল্প ইসবগুল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে ভোর বেলা সেই মিশ্রণ খেলে পেট পরিষ্কার হয়। 


রাস্তার খোলা খাবার,ভাজা-পোড়া,অধিক মসলা যুক্ত,অতিরিক্ত ঝাল খাদ্য এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি ওজন বাড়ায় যেসব খাবার যেমন ফাস্টফুড,বিফ ,মাটন ,এনার্জি ড্রিঙ্কস ইত্যাদি কম খাওয়া ভালো। 


নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন। অলস ভাবে বসে থাকা উচিত নয় ,তাতে রোগ বেধি সহজেই আক্রমণ করে। সর্বদা হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। যদিও কাজটা অত্যন্ত কঠিন,সবাই পারেনা। যারা পারে তারাই মহান হৃদয়ের অধিকারী হয়। সাধারণ মানুষের পর্যায়ে তারা পড়েন না। 


এসব গুনান্বিত মানুষেরা যুগে যুগে সাধারণ মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার আধার হয়ে থাকেন। এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কম। আসলে মানব জীবনে সমস্যা থাকবে এবং এ সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। 


পৃথিবীর সাধারণ মানুষরা শুধু নিজের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর অসাধারনরা সংখ্যায় অল্প হলেও নিজের আলো দ্বারা সমস্ত পৃথিবীটা আলোকিত করার চেষ্টা করেন। 


 যদিও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত টপিকে এসব আলোচনা প্রাসঙ্গিক নয়,তারপরও বলে ফেললাম। কথায় কথায় এসে যায়। 


একদম টেনশন করা উচিত নয়। বাস্তবতাকে মেনে নিন।  যে আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তিনি অবশ্যই রিজিক দিবেন। কাজেই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করাই শ্রেয়। হালাল কাজ করে যান,দুনিয়াতে শান্তি,শরীরও ভালো থাকবে। পরকালেও মুক্তি মিলবে। 


শরীর ব্যথার দোয়া,সুস্থ থাকার দোয়া মহানবী (স )শিখিয়ে দিয়েছেন। বাংলা অর্থ হল : "হে আল্লাহ! আমার শরীরে সুস্থতা দান করো, হে আল্লাহ! আমার শ্রবণশক্তিতে সুস্থতা দান করো, হে আল্লাহ!  আমার দৃষ্টিশক্তি তুমি বাড়িয়ে দাও, তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দরিদ্রতা ও কুফুরী  থেকে, এবং তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আজাব থেকে। তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।" 


সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন, জীবন উপভোগ করুন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ