Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

কানের সমস্যা

 


কান মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মানুষকে চারপাশের  পরিবেশ দেখার  পাশাপাশি আওয়াজও  শুনতে হয় । আর শোনার কাজটা  কান দিয়েই হয়।


কানের  অনেক সমস্যা হতে পারে। যেমন - কান থেকে পুঁজ, মাথা ঘোরা, কানে কম শুনা, কানে শো শো শব্দ  হওয়া ইত্যাদি।


ছোট বাচ্চাদের মধ্যে  সমস্যা বেশি দেখা যায়। গ্রামের পুকুর বা নদীতে গোসল করার সময় কানে জল ঢুকে  পড়ে। যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা  না করা হয় তবে কানের পর্দা  ফেটে যেতে পারে। এক পর্যায়ে কান কম শুনা  যায় এবং স্থায়ী বধিরতা শুরু হয়।


কোলেস্টিটোমা একটি কানের সংক্রমণ যা কানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি ধ্বংস করে। ফলস্বরূপ, কান শুকায় না, ব্যথা শুরু হয়, শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়। এই সংক্রমণ মস্তিষ্কে স্ট্রোকের কারণ হতে পারে, যা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়। 


ওটোসক্লেরোসিসের ফলে শ্রবণ সমস্যা দেখা দেয়, যা কম বয়সী মেয়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।


জোরে শোরগোল কানের বড় সমস্যা হতে পারে। সাধারণত, কানের শ্রুতি সীমা থাকে। যদি এই স্তরটি অতিক্রম করে তবে কানটি তার শ্রবণ শক্তি হারাতে পারে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।


সিগারেটের ধোঁয়া শিশুদের মধ্যে কানের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। তাই বাচ্চাদের সংস্পর্শে থাকার সময় ধূমপান না করা ভাল।


আরো পড়ুন -মেডিটেশন ও এর উপকারিতা 


কানের সমস্যা ও সমাধান


কানে কম শোনার প্রতিকার নিয়ে বলতে গেলে আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা উল্লেখ করতে হবে। বাচ্চাদের কান নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার যাতে কানে ময়লা জমে না। গোসলের সময় কানে যাতে জল না ঢুকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।


কান পরিষ্কার করার সময় কটন  বার ব্যবহার করা উচিত। মুরগির পালকের সাহায্যে কান পরিষ্কার করা মোটেও উচিত নয় ।কান পাকা ঘরোয়া রোগের চিকিৎসা য় গোছলের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই কানে পানি ঢুকতে না পারে। প্রয়োজনে ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার গোসল করতে হবে । ইয়ারপ্লাগ না থাকলে তুলা তেলে ভিজিয়ে অতিরিক্ত তেল চিপে ফেলে দিয়ে তুলা কানে দিয়ে গোছল করবেন।


অডিওমিট্রির মাধ্যমে কানের পর্দা কতটা  ফেটে গেছে তা নির্ণয় করা যায় । তাছাড়া এর  মাধ্যমে সংক্রমণ কানের হাড়কে প্রভাবিত করেছে কিনা, কানের স্নায়ু ঠিক আছে কিনা ইত্যাদিও পরীক্ষা করা সম্ভব। যদি স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে হেয়ারিং এইড ব্যবহার  করতে হবে। 


অটোস্কোপ দিয়েও কানের পর্দা পরীক্ষা করা যেতে পারে। কানের পিছনের অংশে কোনও সংক্রমণ রয়েছে কিনা তা জানতে এক্স-রে এবং কানের স্ক্যান ব্যবহার করা যেতে পারে।


অনেক ক্ষেত্রে সর্দি-কাশি কানের সমস্যা তৈরি করে। এটি স্থায়ী বধিরতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই সামান্যতম সর্দিকে  অবহেলা না করে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কানের ড্রপ বা কোনও ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।


কোলেস্টেটোমা নামে একটি অস্বাভাবিক চামড়ার  বৃদ্ধির রোগ দেখা যায়। এটি জন্মগত হতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর চিকিৎসা  করা প্রয়োজন। দেরি হয়ে গেলে মুখের স্নায়ু আঁকাবাঁকা হয়ে যায়, খিঁচুনি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি হয়ে থাকে।


অনেক ক্ষেত্রেই কানের ফুটো হলে তা ওষুধ দিয়ে নিরাময় করা যায়। তবে যদি সংক্রমণ কানের ভিতর  ছড়িয়ে যায় তবে রোগীর অবস্থা বুঝে অপারেশনের ধরণ নির্ধারণ করতে হবে।


নিয়মতান্ত্রিক  জীবন যাপন করতে হবে। কানে কম শোনার ঔষধ কি তা জানার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আন্দাজে কোন ওষুধ খাওয়া যাবেনা।  কানে কম শোনার হোমিও চিকিৎসা ও নেহায়েত মন্দ নয়। আপনি চাইলে হোমিও ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন। 


রোগের শুরুতে যদি চিকিৎসা  করা হয়, তবে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়না। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ