Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আধুনিক যুগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কতটুকু সফল হওয়া যাবে?

 এফিলিয়েট মার্কেটিং কি


আধুনিক যুগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কতটুকু সফল হওয়া যাবে?
আধুনিক যুগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কতটুকু সফল হওয়া যাবে?

অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোর মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাইট। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় এমন এক পন্থা যার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার ও প্রসার করে থাকে। এখানে অনেক থার্ড পার্টি থাকে যারা পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে কোম্পানি থেকে একটা কমিশন লাভ করে। অনেক ফ্রি ল্যান্সার আছেন যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করছেন। 


এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এ প্রশ্ন অনেকে মনে। এফিলিয়েট মার্কেটিং কে অনেকে অনেক জটিল বিষয় মনে করে। আসলে এটি প্রথম দিকে একটু কঠিন মনে হলেও আস্তে আস্তে অনেক সহজ হয়ে যায়। একটি ব্লগ সাইট বা ফেইসবুক পেজ অথবা ইউটউব চ্যানেল থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা যায়। 


আধুনিক যুগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কতটুকু সফল হওয়া যাবে? শুরুতে আপনি তেমন ভাল করতে পারবেননা। আপনাকে আগে কাজ শিখতে হবে,বুঝতে হবে। কাজের সিস্টেম জানতে হবে। যতই স্কিল বাড়বে ইনকাম ততই বৃদ্ধি পাবে। সঠিক জায়গায় সঠিক পণ্য নিয়ে আপনাকে প্রমোশন করতে হবে। 


অনেকেই একমাস বা দুমাস মার্কেটিং করে ফলাফল না পেয়ে হতাশ হয়ে যান। বিরক্ত হয়ে কাজ ছেড়ে দেন। এমনটা করা উচিত নয়। আপনাকে লেগে থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে কষ্ট করে যেতে হবে। দিতে হবে প্রচুর সময়। ইনশাআল্লাহ সফলতা একদিন আসবেই। 


এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। এখানে পুরো সিস্টেম দেয়া হল। মন দিয়ে পড়লে আশা করি সফল হতে পারবেন। 


এফিলিয়েট মার্কেটিং কি /এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে


এফিলিয়েট মার্কেটিং হল পণ্য বিক্রির একটি অনলাইন মাধ্যম। অনলাইনে কোম্পানিগুলো পণ্য ক্রেতার কাছে প্রচার ও প্রমোশন করে বিক্রি করার মাধ্যমে বিক্রিত পণ্যের উপর নির্দিষ্ট কমিশন পাওয়াকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। 


অর্থাৎ এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি কোম্পানির পণ্যের লিংক প্রচারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবেন। 


এতে কোম্পানিগুলো পণ্যের একটা কমিশন এফিলিয়েট মার্কেটারকে দিবেন। এখানে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ,আমি কিভাবে ওই সকল পণ্য ক্রেতার নিকট পৌছাবো। এর উত্তর হল -আপনাকে কোন কিছুই করতে হবে না। ক্রেতার কাছে পণ্য পৌছিয়ে দেবার দায়িত্ব কোম্পানির। 


আপনি কোম্পানির ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করবেন। এতে ওই ওয়েবসাইট থেকে প্রতিটি পণ্যের জন্য একটি ইউনিক url আপনি পাবেন। এই url টাই ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে হবে। ক্রেতা ওই ইউআরএল লিংকে ক্লিক করে পণ্য কিনলেই আপনি কমিশন পাবেন। যতই বিক্রি বেশি হবে কমিশনের পরিমান ও তত বাড়বে। 




এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন উপায় :


এফিলিয়েট মার্কেটিং এর শুরুতে আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। প্রথমেই ফলাফল আশা করা বোকামি। এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট  অনেক রয়েছে। তার মধ্যে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয়।দারাজ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধমেও অনেক মানুষ ইনকাম করছে। 


আস্তে আস্তে বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে আপনাকে অগ্রসর হতে হবে। ফেসবুকে পেজ খুলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। পেজে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে পণ্যের এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করবেন। 


ফেসবুকে বিজনেস পেজ খুলার নিয়ম আছে। ইউটউব এ সার্চ দিলে পেজ কিভাবে খুলতে হয় জানতে পারবেন। 


ব্লগসাইট তৈরী করে এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। পণ্যের উপর ভাল মানের আর্টিকেল লিখবেন ও লিংক শেয়ার করবেন। এমন ইফেক্টিভ আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে ক্রেতারা মুগ্ধ হয়ে সে পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়। 


বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল নিজের ওয়েবসাইটের মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা। আপনি সামান্য কিছু খরচ করে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। 


এ বিষয়ে ইউটউব এ বিস্তারিত বর্ণনা আছে। এগুলো পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরী করতে হয়।
 
আবার আপনি যদি ফ্রি তে ব্লগসাইট তৈরী করতে চান ,সেটাও পারবেন। খুব সহজ। 

প্রথমে বানাতে হবে একটি ব্লগসাইট বা ওয়েবসাইট। এরপর কোন ধরণের পণ্য নিয়ে কাজ করবেন সেই পণ্য নিয়ে আর্টিকেল লিখুন।সেই আর্টিকেল সঠিকভাবে SEO করুন। 

কাজ চালিয়ে যান ,একসময় আপনার সাইটটি গুগলে রেঙ্ক করবে ও প্রচুর ভিজিটর আসতে শুরু করবে। ফলে আপনার পণ্য বিক্রিও বাড়তে থাকবে।
ইউটউব চ্যানেলের মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। 

একটা ইউটউব চ্যানেল থাকলে যেকোন পণ্যের গুনাগুন ,পণ্যটি ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে ভিডিও তৈরী করতে পারেন। এরপর ইউটউব এ ভিডিও আপলোড করুন ও ডেসক্রিপশন বক্সে এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে দিন।

কিভাবে ইউটউব চ্যানেল খুলতে হয় তা গুগলে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন। 


এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন ?

অনলাইনে উপার্জনের অনেক উপায় আছে। এর মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেটার কিছু কারণ নিচে দেয়া হল :
 

এফিলিয়েট মার্কেটিং তেমন জটিল কোন বিষয় না। একটু ঘাটাঘাটি করলে এটা বুঝা যায়। এতে কোন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দরকার হয়না। 


এ মার্কেটিংয়ের প্রধান বিষয় হল ট্রাফিক জেনারেট করা। এর জন্য অবশ্য আপনাকে কিছু রিসার্চ করতে হবে। কাস্টমারের চাহিদা নিয়েও রিসার্চ করা জরুরি। এসব যদি আয়ত্তে আনা যায় তবে এফিলিয়েট এ দ্রুত সফলতা পাওয়া সম্ভব। 


এর জন্য কোন অফিস বা দোকানের প্রয়োজন নেই। আপনি স্রেফ কোম্পানির ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে তাদের পণ্য নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোন টাকা -পয়সা লাগেনা। একদম ফ্রীতে কাজ শুরু করতে পারবেন। প্রয়োজন দক্ষতার। 


এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কোন ঝুঁকি নেই। এ পদ্ধতিতে অনেক কোম্পানির সাথে কাজ করা যায়। এক কোম্পানি বন্ধ হলে আরেক কোম্পনি তা আছেই। কষ্ট করে যদি সিস্টেম বুঝতে পারা যায় তবে ইনকাম আসতেই থাকবে। 


এখানে আপনি নিজের ইচ্ছেমত পণ্য নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে উচিত হবে সঠিক পণ্য বাছাই করা। না হলে সফল হওয়া যাবে না। 


সমস্ত পৃথিবীতে ব্যবসা করার সুবিধা একমাত্র এই সিস্টেমেই রয়েছে। তবে আপনি যে ধরণের পণ্য বিক্রি করতে চাচ্ছেন তা যদি কোন দেশ বিক্রি না করে তবে সেই দেশে ওই পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। 

অসুবিধা :

আধুনিক যুগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কতটুকু সফল হওয়া যাবে? এতে আয়ের কোন নিশ্চয়তা নেই। আপনি সমস্ত কৌশল অবলম্বন করলেন,অনেক কষ্ট করলেন, কিন্তু লোকেরা তা কিনল না। ফলে সব পরিশ্রম বিফলে গেলো। 


এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনাকে আয়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে। সেটা যে কতটা সময় তা কেও বলতে পারবেনা। আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ,শ্রম ও সময় দিয়ে ব্লগসাইটে ,ফেসবুক পেজে ,ইউটুবে ট্রাফিক নিয়ে আস্তে হবে। না পারলে সব বৃথা। 


এ কাজ করতে গেলে প্রচুর ধৈর্য দরকার যা অনেকের নাই। 


যদিও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবু এতে রয়েছে সাফল্যের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। আপনি যদি ধৈর্য ধরে লেগে থাকেন এবং সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করে যান তবে সফলতা আসতে বাধ্য। আসলে কোন কিছুই কষ্ট ছাড়া হয় না। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ