Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায

 গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ ও প্রতিকার


 বর্তমানে গ্যাস্ট্রিক চিনে না এমন কোনও ব্যক্তি নেই।আর এটি ডাক্তারি ভাষায় বলে পেপটিক আলসার ডিজিজ কিংবা গ্যাস্ট্রিক আলসার ডিজিজ বলা হয়। সকল মানুষেরই কমবেশি এই রোগ হয়। গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ হল কোন কিছু খেলে পেট কামড়ানো ,বুক জ্বালা-পোড়া করা। এরকম সমস্যায় গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ খেতে হবে।শুরুতে আপনি যদি সচেতন হন তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই সমস্যাটি কতটা বেদনাদায়ক তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারে না।

এ জাতীয় রোগীরা তেল ভাজা, মশলাদার খাবার মোটেই খেতে পারেন  না। এসব খাবার খেলেই পেটে অস্বস্তি ও জ্বালা শুরু  হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ওষুধ সেবন অস্থায়ী স্বাচ্ছন্দ্য দেয় তবে পুরোপুরি রোগ নিরাময় করে না।

গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের লক্ষণ ১. বুক জ্বালাপোড়া করা, ২. টক বা তিক্ত স্বাদের ঢেকুর তোলা, ৩. মাত্রাতিরিক্ত হেচকি ওঠা, ৪. বুকের পেছনের অংশে বা মেরুদণ্ডে ব্যথা, ৫. পেটের উপরের অংশে গরম অনুভূত যাওয়া, ৬. বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া। ৭. ক্ষুধামন্দা,

প্রতিকারের উপায়

আদার রসে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি পেট ফাঁপা এবং বুক জ্বালা-পোড়ার  জন্য খুব কার্যকর। আদা দিয়ে কাঁচা নুন খেলে পেটের অসুস্থতা কমে যায়।

গ্যাস্ট্রিক আলসারের  চিকিৎসা য় পুদিনা পাতা  অত্যন্ত কার্যকর। এক কাপ পানিতে পাঁচ -ছয়টা পুদিনা পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি খেলে পেট ফাঁপা এবং বমিভাব দূর হয়।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া ধীরে ধীরে গ্যাস্ট্রিক হ্রাস করে। তবে যাদের অ্যালার্জি, আলসার রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে রসুন না খাওয়াই ভালো।এলোভেরাতে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান রয়েছে। এতে  এক ধরণের অ্যাসিড থাকে যা পেট ফাঁপা দূর করে দেয়। এটি নিয়মিত গ্রহণ করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। 


আরো পড়ুন -ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

লবঙ্গ এক ধরণের মশলা। বুক জ্বললে এক বা দুটি লবঙ্গ চিবানো উচিত।গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করতে লবঙ্গ বিশেষ কার্যকর। 

পেট খারাপের জন্য শসা খুব কার্যকর। পেটের অসুস্থতা ছাড়াও এটি উচ্চ চাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকাতে শসা দৈনিক থাকতে হবে। 

নিয়মিত পেঁপে খেলে পেট ভালো থাকে।যাদের কোষ্ট -কাঠিন্নতা রয়েছে তারা নিয়মিত পেঁপের তরকারি খেলে রোগ থেকে মুক্তি মিলে। 

প্রতিদিন  সকালে ইসবগুলের সাথে পানি  মিশিয়ে খেলে  গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে যায় । এটি পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।

হজমের জন্য দই চরম উপকারী। যাদের  সঠিকভাবে হজম হয় না তারা নিয়মিত দই খেতে পারেন।

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায় হিসেবে গুড় ভাল কাজ করে। বুক জ্বালাপোড়া এবং অ্যাসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পেতে গুড়ের বিকল্প নেই । বুক জ্বালাপোড়া করলে সঙ্গে সঙ্গে এক টুকরা গুড় মুখে দিন। চিবিয়ে না খেয়ে ধীরে ধীরে চুষতে থাকুন যতক্ষন না এটা গলে যায়। দ্রুত গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় হিসেবে এটি খাওয়া হয়। 

কলা পেট থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম নির্মূল করতে সহায়তা করে। ফলস্বরূপ, পেটের গ্যাস হ্রাস পায়। সম্ভব হলে প্রতিদিন দু'টি কলা খাবেন।

যারা সকালে পান্তা -ভাত খান তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ভাত  কমপক্ষে আট ঘন্টা পানিতে  ভিজিয়ে রাখতে হবে। পান্তা -ভাতের মধ্যে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

বাইরের খোলা খাবার , বেশি ঝাল দেয়া ,ভাজা-পোড়া, অধিক মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। নিয়মমাফিক  জীবনযাপন করে গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব .





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ