Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

জাগতিক দুশ্চিন্তা বা টেনশন থেকে রেহাই পেতে কি কি করা উচিত ২০২১

 

জাগতিক দুশ্চিন্তা বা টেনশন থেকে রেহাই পেতে কি কি করা উচিত ২০২১

বর্তমানে চিন্তাভাবনা বা টেনশন নেই এমন কোনও মানুষ নেই। যুগ যত আধুনিক হচ্ছে মানুষের জীবন তত জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। অতীতে লোকেরা জমিতে চাষাবাদ করত, দুবেলা  খেত এবং হাসি-ঠাট্টা করে বেঁচে থাকত। এখন সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদাও বেড়েছে। 


ফলস্বরূপ, জীবনের যাত্রার  মানও  পরিবর্তিত হয়েছে। আগে গ্রামে-গঞ্জে এতো পাকা বাড়ি ছিলোনা,সহজ-সরল জীবন যাপন করতো মানুষ। আধুনিক যুগে এসে  সবকিছু বদলেছে। ফলে মানুষের চিন্তা-ধারাতেও পরিবর্তন চলে এসেছে।  


এখন আর অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়না মানুষ। অল্প সময়ে ধনী হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা মানুষকে গ্রাস করছে। ফলস্বরূপ ছুটছে মানুষ,সেই সাথে মানসিক দুশ্চিন্তাও পেয়ে বসেছে তাকে।  অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা বা টেনশনের কারণে  বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের মতো রোগ বেড়েছে।


আরো পড়ুন -চাকরির পেছনে ছোটা, আর কত?


সুতরাং এটি সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। জাগতিক দুশ্চিন্তা বা টেনশন থেকে রেহাই পেতে কি কি করা উচিত ২০২১ এ এখানে কিছু উপায় রয়েছে:


কাজের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। নিজের মনকে ব্যস্ত রাখুন,কোনো না কোনো কাজ দিন । কখনও বেকার বসে থাকবেন না। তাহলে দুশ্চিন্তা গ্রাস করবে আপনাকে।


মেডিটেশন করুন, এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি। ফলস্বরূপ, শরীর এবং মন আরও ভাল হয়।


হাসি - খুশি থাকার চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিন। হতাশাগুলো শেয়ার করুন।  দেখবেন অনেক হালকা লাগছে। 


অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। আপনার চাইতে উপরের কাউকে ভাবার দরকার নেই। বরং গরিব খেটে  খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করুন। 


কারও প্রতি রাগ,ক্ষোভ,জমিয়ে রাখবেন না। সবাইকে ক্ষমা করে দিন 


বেশি চিন্তা করা বাদ দিন।  অতিরিক্ত চিন্তা বা টেনশন  শরীরের  কী ক্ষতি করতে পারে তা ভেবে দেখুন।


মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন, তারপরে সমস্যাটি নিয়ে ধীরে ধীরে চিন্তা করুন। অস্থির হওয়ার দরকার নেই, মনে মনে স্রষ্টাকে ডাকুন।


আপনার সমস্যাটা কতটুকু ক্ষতি করবে তা চিন্তা না করে এর সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ বাস্তবতাকে মেনে নিন। 


মানসিক চাপ বা টেনশন থেকে মুক্তি পেতে  তুলসী পাতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে এমন কিছু গুনাগুন রয়েছে যা মানসিক শক্তি বাড়াতে ও স্নায়ুর উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। 


এক কাপ পানিতে দশ বারোটা তুলসী পাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। পানির রং পরিবর্তন হলে তুলসী পাতা ছেকে নিতে হবে। প্রতিদিন সকালে মধুর সাথে মিশিয়ে সেই পানি খেতে হবে। 


গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে থিয়ানিন এবং অ্যামিনো এসিড, যেগুলো মানসিক স্বস্তি এবং শান্তি দিতে সহায়তা করে। এর ফলে মানসিক চাপ অনেক হালকা হয়। কিভাবে তৈরী করতে হবে জেনে নিন।


 ১ কাপ পানি ভালো করে ফুটিয়ে তার মধ্যে গ্রিন টি দিয়ে আগুন বন্ধ করে পাত্র ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর গ্রিন টি ছেঁকে নিয়ে চা পান করতে হবে।


পালং শাক এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যা  মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। তাই মাঝে-মাঝে পালং শাক খাওয়া ভাল। 


আমন্ড ভিটামিন ই এর উৎকৃষ্ট উৎস। এটি  শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।


দুধ এমন একটি সুষম খাদ্য মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। রাতে খেলে ঘুম ভাল হয়,শরীরে শক্তি যোগায়। তাই  প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়া উত্তম। 


কমলালেবু খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। এছাড়া এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। মানসিক চাপ প্রতিরোধ করতে এবং স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমাতে এটি সহায়তা করে।


আইসক্রিম, কফি,  চাইনিজ খাবার , টিনজাত স্যুপ এসব না খাওয়া ভাল। এসব খাবার মানসিক চাপ আরো বাড়াতে সাহায্য করে। 

টেনশনমুক্ত জীবন যাপনের চেষ্টা করুন। মনে রাখা দরকার ,পৃথিবীতে সমস্যা থাকবে এবং সেই সমস্যাকে সামলে নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ