Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

কিভাবে ঘরে বসে মোবাইলে অনলাইনে টাকা আয়/ইনকাম করা যায়

 কিভাবে ঘরে বসে মোবাইলে অনলাইনে টাকা আয়/ইনকাম করা যায়


আজকাল প্রত্যেকের কাছেই একটি স্মার্টফোন রয়েছে, এবং আপনি একজন অ্যান্ড্রয়েড ফ্যান, উইন্ডোজ মোবাইল নবাগত, অ্যাপল ফ্যান বা ব্ল্যাকবেরির প্রতি নিবেদিত হোক না কেন, আপনি অর্থোপার্জনের জন্য আজই আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করতে পারেন৷ না, আমি ওয়্যারলেস টেলিমার্কেটিং সম্পর্কে কথা বলছি না, আমি কেবল প্রমাণিত এবং প্রমাণিত পদ্ধতিগুলির কথা বলছি যা শুধুমাত্র আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনাকে আইনি অর্থ উপার্জন করবে।

আমি  বাড়ি থেকে কাজ করার এবং অর্থ উপার্জনের জন্য সেরা বারোটি পদ্ধতির তালিকা করব। যাইহোক, বিশ্বাস করবেন না যে আপনি এখানে কাজ না করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে, আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা বিনিয়োগ করতে হবে।

কিভাবে ঘরে বসে মোবাইলে অনলাইনে টাকা আয়/ইনকাম করা যায়,  এখনই শুরু করার জন্য এখানে বারোটি  উপায় রয়েছে৷

1. ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে আয় করুন  অ্যাপ ব্যবহার করে

আপনার হয়তো জানা আছে যে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য অনেকগুলি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে । আপনি যদি গুগল প্লে স্টোরে অনুসন্ধান করেন তবে আপনি অনলাইনে অর্থোপার্জনের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ খুঁজে পেতে পারেন।

অর্থ উপার্জনের জন্য শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে:

Google Pay: অন্যদের রেফার করলে আপনি Google Pay-এর মাধ্যমে 50 টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

Dream 11 : হল একটি ভার্চুয়াল ক্রিকেট গেম যা আপনাকে টাকা জিততে দেয়।

RozDhan: শুধু নিবন্ধন করে আপনি 25 থেকে 50 টাকা আয় করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি বিভিন্ন ব্যক্তি এবং কাজ উল্লেখ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

Swagbucks: অর্থ উপার্জনের জন্য সম্পূর্ণ অর্থপ্রদানের সমীক্ষা এবং মোবাইল অফার।

pocket money app : সার্ভে সম্পূর্ণ করার জন্য অর্থ পাবেন । এছাড়া অন্যদের রেফার করে টাকা পেতে পারেন।

2. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

সোশ্যাল মিডিয়াতে নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভবই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর চাইলে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো থেকেও কিন্তু প্রতি মাসে অনেক টাকা রোজগার করা সম্ভব। এক্ষেত্রে, আপনি নিজেকে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করতে পারেন। 

সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই আপনার উপার্জনের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। তবে, এক্ষেত্রে আপনার কতজন ক্লায়েন্ট রয়েছে, তার উপরেও কিন্তু আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে থাকে। 

3. ব্লগিং করে ইনকাম

কোনোরকম কোনো টাকা ইনভেস্ট না করেই আয় করার একটা অন্যতম সেরা উপায় হল ব্লগিং। একজন ব্লগার, গুগল অ্যাডসেন্স কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাহায্যে প্রতি মাসে অনেক টাকা সহজেই উপার্জন করতে সক্ষম। 

যে বিষয়ে আপনার বেশি জ্ঞান রয়েছে, সেই বিষয় নিয়েই ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

নিয়মিত নিজের ব্লগে কনটেন্ট পাবলিশ করতে থাকলে ধীরে ধীরে আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর ইন্টারনেটের মাধ্যমে চলে আসবে আপনার লেখা আর্টিকেল গুলো পড়ার জন্য।

আর একবার নিয়মিত ট্রাফিক আসতে শুরু করলেই, আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। আর একবার অ্যাডসেন্স পেলে, আপনি ব্লগে বিজ্ঞাপন চালিয়ে সেখান থেকে নিয়মিত টাকা আয় করতে পারেন।

সঠিক ভাবে ব্লগিং করতে পারলে প্রায় কিছু মাস পর থেকেই ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০ আয় করা যাবে। 

4. ডাটা এন্ট্রির কাজ 

আপনার যদি ভালো টাইপিং দক্ষতা থাকে, তবে আপনি এই টাইপিং কাজের মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ অর্থ রোজগার করতে পারেন।

এক্ষেত্রে, আপনার লাগবে শুধুমাত্র একটা কম্পিউটার ও ভালো ইন্টারনেট।

বিভিন্ন  মার্কেটপ্লেস গুলিতে গিয়ে আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজ খুঁজতে পারবেন। পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম হিসেবেও ডেটা এন্ট্রির কাজ করে এক্সট্রা টাকা আয় করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। 

5. YouTube channel তৈরি করে আয় 

ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মতো ইউটিউবও হল এক ধরণের ব্যস্ততম প্ল্যাটফর্ম। YouTube হলো ঘরে বসে অনলাইন ইনকামের সব থেকে সোজা উপায়। 

আপনি যদি কিছু সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন অথবা রান্না করার মতো কোনো কাজে দক্ষ হন; তবে আপনিও ইউটিউবের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

সম্পূর্ণ কাজ নিজের মোবাইল থেকেই করা যাবে। খানিকটা অসুবিধা হলেও অনেকেই মোবাইল থেকেই সম্পূর্ণ কাজ করে নিচ্ছেন।

6. অনলাইন সার্ভে করে আয় 

বিভিন্ন অনলাইন পেইড সার্ভে সাইট গুলো ব্যবহার করেও কিন্তু মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা সম্ভব। সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে তেমন বেশি ইনকাম হবেনা যদিও কিছুটা হাত খরচ আসবে।

Swagbucks, InboxDollars, MyPoints, এগুলি হলো অনেক জনপ্রিয় অনলাইন সার্ভে সাইট।

Swagbucks-এর মধ্যে সার্ভে কাজ ছাড়াও  অন্যান্য ছোট ছোট কাজ গুলো করেও ইনকাম করা যায় । যেমন, ভিডিও দেখা, গেম খেলা, অন্যান্য ব্যক্তিদের রেফার করা ইত্যাদি।

7. মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

কিভাবে টাকা ইনকাম করব অথবা ঘরে বসে কিভাবে ইনকাম করা যায় এটা নিয়ে অনেক ভিডিও আছে ইউটউব এ। তবে সব ভিডিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। ঘরে বসে আয় করুন 15000-20000 টাকা প্রতি মাসে/মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়-এই রকম লোভনীয় টাইটেল দিয়ে অনেকে ভুয়া ভিডিও মেক করেন।

অনলাইনে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য পরীক্ষা সবসময়ই একটি দুর্দান্ত উপায় ছিল এবং এখন প্রবণতা মোবাইল স্পেসে পৌঁছেছে। পরের বার যখন আপনি ট্রেনে থাকবেন বা আপনার মধ্যাহ্নভোজের তারিখ পূরণের জন্য অপেক্ষা করছেন, Survey.com-এ সাইন আপ করুন বা কয়েকটি দ্রুত সমীক্ষার প্রশ্নের উত্তর দিতে মন্তব্য করুন এবং আপনি শীর্ষ ডলার উপার্জনের পথে রয়েছেন।

অনলাইন বিপণন ভাল, এবং আমি সম্পূর্ণ বলব, কিন্তু মোবাইল মার্কেটিং এই মুহূর্তে একটি সমৃদ্ধ সেগমেন্ট। যতক্ষণ আপনার কাছে স্মার্টফোন থাকবে, ততক্ষণ আপনার হাতে অর্থোপার্জনের হাতিয়ার রয়েছে। এই মিস করবেন না. প্রবণতা সবসময় নতুন.

আপনি আজই উপার্জন শুরু করতে এখানে স্মার্টফোন মানি ওয়েবসাইটে তাত্ক্ষণিক অ্যাক্সেস পেতে পারেন। স্মার্টফোনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনি যে তথ্য অ্যাক্সেস করবেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন পৃষ্ঠায় যান এবং কিভাবে খুঁজে বের করুন! উপার্জন করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

8. মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

বিভিন্ন সার্ভে সাইট আছে যেখানে প্রতিদিন কাজ করে আয় করতে পারেন। এ কাজগুলো খুব সহজ আর আপনাকে কোন ইনভেস্ট করতে হবেনা। তবে অনেক পেইড সার্ভে সাইট আছে যেখানে কাজ করতে হলে খরচ করতে হবে। তবে সেখানে আয়ও বেশি।

9. ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

সিপিএ মার্কেটিং এর নাম অনেকেই জানেন আবার কেউ কেউ জানেন না। এটার সাহায্যে খুব অল্প সময়ে আয় করা যায়। এবং কাজটা মোবাইলে করা সম্ভব। তবে এখন কম্পিটিশন অনেক বেড়ে গিয়েছে, আপনাকে অনেক ধৈর্য্য ও পরিশ্রম করতে হবে। তবেই আয় করা সম্ভব। এখানে দুই ভাবে আয় করা যায় একটা হল ফ্রী মার্কেটিং আরেকটা হল পেইড। পেইড মার্কেটিং এ ইনভেস্ট করতে হয়, আয় বেশি আবার ঝুঁকিও রয়েছে। 

10. ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ 

 আজকাল, বাড়ি থেকে প্যাকিংয়ের কাজ করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি ঘরে বসে কাজ করতে এবং অর্থ উপার্জন করতে চান তবে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন । উপরন্তু, কোনো প্যাকিং ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়নের আগে, সতর্ক পরিকল্পনা এবং বাজার গবেষণা প্রয়োজন। প্রথমে ছোট শুরু করার পর ধীরে ধীরে বাড়ান।

ড্রপশিপিং: আপনি ইন্টারনেটে বিভিন্ন উপহার বাক্স বা প্যাকেট প্যাকেজ এবং বিক্রি করতে পারেন। ড্রপশিপিং বিজনেস মডেল ব্যবহার করে, আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অর্ডার গ্রহণ করতে পারেন এবং সরাসরি বিভিন্ন প্রাপকদের কাছে পণ্য পাঠাতে পারেন।

খাদ্য প্যাকেজিং: আপনি আশেপাশের বাজারে বাড়িতে তৈরি খাবার বা পিকনিক সরবরাহ প্যাকেজ এবং বিক্রি করতে পারেন।

সাজসজ্জা: নিজের হাতে সুন্দর উপহার প্যাকিং করে বা একটি উদ্বোধন করা প্যাকিং বক্স সাজানো যেখানে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী রাখা হয়। এভাবে আপনি অর্থোপার্জন করতে পারেন।

কাস্টম প্যাকেজিং পরিষেবা: আপনি একটি কাস্টম প্যাকেজিং পরিষেবা শুরু করতে পারেন যেখানে ক্লায়েন্টরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী উপহারের ব্যাগ ডিজাইন করতে পারে।

11. মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

এখানে আপনাকে এক টাকাও খরচ  করতে হয় না। শুরুতে টাকা ইনকাম করতে খানিকটা সময় লাগতে পারে যদিও ধীরে ধীরে এই কাজে পারফেক্ট হতে পারলে এর থেকে মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজারও আয় করা যায়।

বর্তমান সময়ে অনেকেই তাদের টাকা রোজগারের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে অনলাইন রিসেলিং ব্যবসাকে বেছে  নিয়েছে। 

কুইকার, পশওয়ার্ক, মিশো, আমাজন মার্কেটপ্লেসের মতো এরকম অনেক রিসেলিং  অ্যাপও আছে, যেখান থেকে আপনি সরাসরি প্রোডাক্ট কিনে আপনার পরিচিত সার্কলে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। 

আপনি পোশাক-আষাক থেকে শুরু করে গয়নাগাটি ও আরও অন্যান্য প্রোডাক্ট গুলিও রিসেল করেও লাভ করতে পারেন। 

12. ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়

আপনারা যারা অনলাইন থেকে আয় করতে চাচ্ছেন তারা এই এই সাইট এ কাজ করে ইনকাম আরম্ভ করতে পারেন।

 খুব ভালো একটি সাইট। ১০০% পেমেন্ট দেয়। সাইট এ একাউন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন 

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এখন অনেকে কাজগুলো করে প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করছে। তাই আপনি আজ থেকেই শুরু করুন।  চেষ্টা করতে থাকুন আল্লাহর উপর ভরসা করে ঘরে বসে আয় করুন, সফলতা অবশ্যই আসবে ইনশাআল্লাহ। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ